Thursday 2 April 2020

সৃজা ৪

এখান থেকে আমায় নিয়ে চলো
চারপাশ খুব অন্যরকম লাগে
কেমন যেন পাথর হয়ে গেছি
যন্ত্রণা আর বিফল অনুরাগে।

যেসব মানুষ হাসতে পারে বেশি,
তাদের থেকেই সব অভিনয় শেখো।
আমায় তুমি সঙ্গে নিয়ে চলো
আমায় তুমি নিজের কাছে রেখো

আমরা যারা এক্কেবারে ঠকে
প্রমাণ হলাম যাবজ্জীবন হেরো
রক্তপাতে হার মানি রোজ রাতে,
তাদের দিকেও একটুখানি ফেরো?

জানি অনেক পিছিয়ে পড়ে আছি
ভালবাসা বলতে বুঝি - 'থাকা'
জীবন মানেই ভাবি লাটাই ঘুড়ি
ভয় জাগে তো মুখোশ এবং টাকায়।

বন্ধু ছিল। হয়ত আছেও কিছু
তবুও কি এক মুখ খুঁজেছি... জানো?
যে একটা ঘর খুঁজে দেবেই শেষে
যে জানবে এই অবুঝকে সামলানো

মরতে হলে মরব না হয় পথেই
এর চেয়ে খারাপ কি হবে আর বেশি?
সঙ্গে নিলে পাশের মানুষ হবো
নইলে তো সেই... স্নিগ্ধ পরদেশী...

রূপকথা সব মাটিই হবে জানি
বসন্তদিন বর্ষা দেবে ঢেকে
তবুও তুমি আমায় নিয়ে চলো
আমায় নিয়ে চলো এখান থেকে।

সৃজা ৩

এভাবে বলে নি কেউ, কেউ তো বলেনি এইভাবে-
ঝড় টড় পার করে আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাবে!
রাগ হবে তবু চোখে বাঁচবে নিখাদ আশ্রয়
আমাকে না চেনো যদি, জানোই নি- প্রেম কিসে হয়...

এভাবে বাঁধেনি কেউ যত্নের স্বরলিপিটিতে
এভাবে নেয় নি কেউ নির্জনে, গাঢ় সন্ধিতে
এভাবে হয়নি কথা চোখেদের আলো দিয়ে ঘিরে
এভাবে যাবার কালে কেউ তো দেখেনি ফিরে ফিরে!

এভাবে বলেনি কেউ ভালবাসি, খুব ভালবাসি
এভাবে বোঝেনি ব্যথা- কেন চিৎকারে থেমে আসি!
এভাবে রাখে না কেউ সব খাতে, সব অভ্যেসে
এভাবে চায় নি কেউ প্রতি কটা রাত্তির শেষে

এভাবে টানেনি কেউ যাতে মুশকিলই হয় ছাড়া
এভাবে জড়িয়ে কেউ দেয় নি যত্ন বা পাহারা
এভাবে কাঁদে নি কেউ আমাকেও হারাবার ভয়ে
এভাবে আদর করে রাখেনি সাহসে... প্রত্যয়ে...

এভাবে দেখে নি কেউ- অভিমানে আভরণহীনা
কেন চুপ করে থাকি, একটাও প্রশ্ন করি না!
এভাবে খোঁজে নি কেউ ঘুম ভাঙা ওলটে পালটে
তীব্র স্লোগানে আর একাকিত্বের নীল জোটে

এভাবে মারেনি কেউ, কেউ তো মারে নি এইভাবে-
যেভাবে হত্যা হলে আজীবন বেঁচে যাওয়া যাবে।
বিষে তো অর্ধমৃত অথচ রাখি না প্রাণে ফাঁকি
আমাকে না নাও যদি, শিখবে না- ভালবাসাটা কি?

-©সৃজা

গানের ওপারে- সৃজা ঘোষ

গানের যা কথা, সব চুরি হয়ে গেছে
মাঝরাতে পড়ে আছে সুর অভিমানী
কেন চোখে জল এল এতকাল পরে?
সেসবও কি আমি ছাই ঠিক করে জানি!

শুধু মনে আছে চোখে আলো পড়ছিল
চার দিক ভেসে যাচ্ছিল চেনা ভিড়ে
আমার আর ঠিক কি কি হারানোর ছিল-
চোখ বুজে আসা এই গানটিকে ঘিরে?

যেন কেউ কাছে তবু খুব কাছে নয়...
মায়া বেড়ে গেলে সব ভুলত্রুটি ক্ষমা
যতবার চোখ ফেটে জল এসেছিল
ততবার গানে ব্যথা করে গেছি জমা

গলা ধরে আসছিল, বাড়ছিল হাওয়া
পায়ের যেটুকু মাটি যাচ্ছিল সরে...
যে মানুষ কাছে তবু ঠিক কাছে নয়,
তাকে আমি বেঁধে রেখে দিই অক্ষরে।

সেও বুঝি সুর হবে অচেনা দুপুরে!?
আলোর দিব্যি দিয়ে সামলাবে ক্ষত
কান্নার পরে চোখ খুলে দেখবই-
গানের ওপারে তুমি, দাঁড়ানোর মত...

আত্মসমর্পণ- সৃজা ঘোষ

ছেড়ে যাব বলে একে একে মায়া কাটিয়ে উঠছি আমি
প্রিয় করিডোর ছলকে উঠছে না পাওয়া দিনের আলোয়
সময় এবং সহমর্মিতা চাইতে গেলেই বুঝি-
কিছু মোমবাতি নেভানোর চেয়ে পুড়িয়ে দেওয়াই ভালো

দেখা হবে বলে ছুটে যাওয়া আর ফেরার শূণ্য হাতে
দূর থেকে যদি ভালবাসা যায়, কার কি বা তাতে ক্ষতি?
বৃষ্টিকে আমি আসতে বলেছি কান্না লুকোবো বলে
মরতে মরতে হেঁটে যাওয়াটাই জীবনের পরিণতি।

ইচ্ছের ঠিক ঠিকানা থাকে না, এমনিই চায় লোকে
ঘুমোতে না পেরে সারারাত ধরে জেগে বসে থাকে ক্ষত
ফেরবার আগে শেষ ইচ্ছেটা? বনেদী বসন্ততে
তার হাত ধরে সমস্ত দিন বেড়াবো ঝড়ের মত...

অধিকারবোধ বাড়িয়ে ফেলেই সরে আসি ভীতু পায়ে
যদি ভালবাসা প্রকাশিত হয়ে কান্নাটি যায় শোনা!
আমার যা হয় হোক তবু এই ভীষণ গুমোট দিনে
তোমাকে আমার বায়নার ঘরে আর টানবো না

চাইলে সবই তো কেড়ে নেওয়া যায় তীরন্দাজের মত
লক্ষ্যভেদে যে বিশ্বাসী নয় আসল জ্বালা তো তারই
নিজেকে এতটা কঠিন করেই কষ্ট দেবার পরেও
দূর থেকে কোনো দাবি না জানিয়ে ভালবেসে যেতে পারি

পাতা টাতা সব ঝরে গিয়ে শেষে পড়ে আছে শুধু কাঁটা
কেউ তাতে হাত ছুঁয়েও দেখে না রক্ত পড়ায় ভয়ে
একা গাছটিই এফোঁড় ওফোঁড়, বলতে পারেনি তবু-
কয়েকটা ফুল ফুটতে পারত আদরের বিনিময়ে...

মায়া বাড়ে বলে একা একা তাকে ছেড়ে যেতে হবে জানি
না পাওয়া দিনের আলো পড়ে চেনা করিডোর চমকায়
আমার জন্যে কারোরই কখনো সময় ছিল না বলে
কিছু মোমবাতি নেভানোর আগে পুড়িয়ে ফেলাই যায়।

সৃজা ২

চাঁদের আলোয় আকাশ ধুয়ে গেছে
বিচ্ছেদে আজ চোখ পড়েনি তাই
কোথাও জানি আমার ঘরও আছে
আজ সেখানে পৌঁছে যেতে চাই।

মুঠোয় আবির ভরেই রাখা থাকে
রঙ খেলাতে বিপক্ষ হয় নাকি?
কে আমাকে ছাড়ল ভুলে গিয়ে
কে আমাকে চাইল মনে রাখি...

ঘুমের ভেতর স্বপ্ন জড়ো করি
আদর চাদর মন শরীরের পাশে
এমন দিনে শান্ত মেয়ের কোলে
ছাদের মায়ায় জ্যোৎস্না নেমে আসে

কোন তারাটা আমার কাছাকাছি
না ডাক পেয়েও পড়তে পারে খসে!
ডাকলে সাড়া দেবার তো কেউ নেই
তাই সারারাত চাঁদের কাছে বসে

পায়ের কাছে অল্প ধূলোর রেশ
ঠান্ডা হাওয়ায় শিরশিরে গান চালু
যাওয়ার কথা কোথায়?- জানি না তো!
অসার হয়ে আসছে হাতের তালু

এখন এ চাঁদ ধরব কেমন করে?
তার চেয়ে বরং এ বিষ গায়ে মাখি
যে আমাকে সামলাতে আসবেই-
আমিই তো তার বসন্ত হই, নাকি?

তোমার সাথে কোথায় প্রথম দেখা?
তোমায় আমি কেমন করে চিনি!
অভিমানের চরকা কাটে সুতো
বাসলে ভাল, সবাই কলঙ্কিনী

ফেরার হবার রাস্তা কোথায় বলো? 
সারাটা রাত জেগেই আছি তবে...
চাঁদের আলোয় আকাশ ধুয়ে গেছে
তোমার কাছেও আমায় যেতে হবে

(সৃজা ঘোষ)

পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে ফুটে উঠছে আলো
ঘুম ভাঙছে মফঃস্বলের, ঘুম ভাঙছে পাড়ার
আয়না জুড়ে অন্যরকম প্রতিবিম্ব, ঢালও
অসম্ভবের দরজা খুলে ঢুকে পড়ল কারা!

বসন্তের কারুকার্য রক্তে ফুটে ওঠে
চতুর্দিকে অসুখ বিসুখ, দীর্ঘ মহামারি
ভোরের আগেই ঠান্ডা চোখে কৃষ্ণচূড়া ফোটে
বিপদ এখন আরামপ্রদই, হাওয়ায় নেশা ভারি

অনন্ত এই ভুবনডাঙা শান্ত হলে গানে
মৃত গাছের কোটর থেকেই কোকিল যাবে চুরি
অন্ধ হয়েও যেকটা লোক রঙের হদিশ জানে
তাদের কাছে সব আগুনই - ব্যার্থ বাহাদুরি...

কয়েক জন্ম পেছন দিকে ছুটতে হবে বুঝি
অনুসঙ্গ ভাল জিনিস, চিনতে শেখায় জল।
আয়না ভেঙে বসন্তদিন দাঁড়ায় সোজাসুজি
ঘুমিয়ে পড়ে দূরের পাড়া, কাছের মফঃস্বল

আলবিদা- সৃজা ঘোষ

এবার দেখো সত্যি সত্যি সেরে উঠব আমি
ছুঁড়ে ফেলব কাঁচের শিশি, সব নিয়মের ঘটা
অসুখ বুকে নিয়েও যারা স্বপ্ন দেখতে পারে
তাদের কাছে দুঃখ থিতু, বসন্ত রগচটা।

শরীর পরীক্ষা করে হাতিঘোড়াই হবে
অনেক কাল ভোগা হল, এবার ছাড়ান দাও
মুঠো ভেঙে সময় কেমন বেড়িয়ে যাচ্ছে, দ্যাখো
এর মধ্যেই মরব নাকি!? যাব না এক পা-ও?

ক্ষত সারতে অনেক বাকি, তবুও য'দিন আছি
চতুর্দিকে ছড়িয়ে যাবো হাসির মহামারি...
আমরা যারা অবহেলাও হজম করে নিলাম,
বিদায় নেবার আগে তারাই বাঁচিয়ে যেতে পারি।

কিন্তু এসব বোঝার মত ধৈর্য নেই কারোর
হয়ত প্রিয় সমুদ্রতেই মিথ্যে জাহাজ ভাসে
কাছের লোকের সঙ্গে এসব যুদ্ধ করতে গেলে
অস্ত্র ছোঁড়ার আগেই দু চোখ ঝাপসা হয়ে আসে

ভালবাসতে সাহস লাগে, আমি দুঃসাহসী
আরোগ্য আশাতীত, অভিজ্ঞতাও যম।
মরতে মরতে তবুও যা যা স্বপ্ন রেখে যাবো,
তাতেই জেনো সফল হবে প্রেম আর পরিশ্রম।

ভয় পেও না বন্ধুমহল, ভয় পেও না পাড়া
চোখের জল বহুমূল্য, খরচ করতে নেই
আমরা যারা কাঁদতে কাঁদতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম
এখন তারা হাসতে হাসতে যাচ্ছি এভাবেই..

চাইছি কৃষ্ণচূড়া হতে- সৃজা ঘোষ

দুর্বল নই তাও প্রবল ক্লান্ত হয়ে আছি
আক্রমণের চোটে বিশ্বাস ভাসিয়েছি স্রোতে
ক্রমাগত সব হারাবে এ নিয়তি মানবার পরও
তোমাকে দেখেছি যত, চেয়েছি কৃষ্ণচূড়া হতে।

আঘাতে সবটা গেছে। প্রিয় আলো, মায়া, ঘুম, হাসি
অন্ধকারের পরে আলো দেখে ভয় পায় চোখ।
যে মানুষ প্রতিবার ভালবেসে হেরে যাচ্ছিল
মনে মনে সেই চায়- সকলের ঘর সুখী হোক...

বাইরে অনেক খ্যাতি। ভেতরে তো তোলপাড় ক্ষত
কাছে আসবার দাবি বহু জন বহু ভাবে করে
ভালমানুষির দায়- ফেরাতে পারিনি কোনোদিনই
অতএব ব্যবহার, ছুঁড়ে ফেলা ঠিক তারপরে৷

এসবের মাঝখানে হুট করে কেউ কেউ আসে
ভীতু মনটিকে কাছে নিয়ে বসে নিভৃতের জনই...
যাদের বসন্তদিন বহু আগে চুরি হয়েছিল
তাদের ব্যথাকে নিয়ে কোনোদিন কেউই ভাবো নি।

তুমি ভাবো, এটুকুই আজকের আঁধারে জরুরি
নির্বাসনের পরে কোনও দিন যদি ফেরা হয়,
আমার যেটুকু আলো, যতটুকু খ্যাতি তা তোমারই।
কেননা তুমিই বলো- দুঃখটা বড় কথা নয়

অতএব অভিমান ভেঙে গেল হাওয়াতে হাওয়াতে
হয়ত ক্লান্ত তবে এবার শক্ত হবো, দেখো...
যারা চলে যেতে চায়, তাদের যাবারই কথা ছিল
তোমাকে ভরসা করি। তুমি শুধু পাশটাতে থেকো।

আর যদি না চাও তো- বলে যেও, ব্যাস এতটুকু।
আটকানো যায় না যে শেখা হয়ে গেছে এ কথাটি...
একাই পারতে হয় তবু কেউ সাথে রয়ে গেলে
আমরা বাকিটা পথ তাকেই সঙ্গে নিয়ে হাঁটি।

ততটা শক্ত নই যতটা বাইরে থেকে লাগে...
আক্রমণের দিনে বিশ্বাস বয়ে যায় স্রোতে
ক্রমাগত সব হারাবে এ নিয়তি মানবার পরও
তোমাকে দেখছি যত, চাইছি কৃষ্ণচূড়া হতে

তবুও আশা থাকে- সৃজা ঘোষ

কবিতার পায়ে ছায়া রাখে রূপকথা
আদরের ফুল কাঁটায় পা ফেলে বাড়ে
ভালবাসবার মানুষ এখন বিরল
চারিদিকে শুধু দানব নজর কাড়ে...

মিথ্যের কাছে আদরের পোয়াবারো
শেকড়েও বিষ চোখের আড়ালে ঢালি
এখন রাত্রি বলতে- না আসা ঘুম
কোনো কোনোদিন জোটে চাঁদ, একফালি।

ঘরের পর্দা ব্যথা লেগে বেশ ওড়ে
ছায়াঘেরা বাড়ি- শীতল, যেমন হয়
আমরা তো সেই ছোটো থেকে শুনে গেছি
যন্ত্রণা হলে, সহ্য করতে হয়।

তাই হাসিমুখ পরিজন দিয়ে ঘেরা
সংসার আর হিসেবের খড়কুটো
মাঝরাত্তিরে পাশ ফিরে কেউ নেই
প্রেমের অভাবে ভরে যায় সারা উঠোন!

সে উঠোনে হাঁটি পায়ে পায়ে স্বপ্নতে
নুন আনতে গেলে পান্তা ফুরিয়ে যায়
ভাল থাকবার চেষ্টা করতে গেলে
যতটা শক্তি, সবটা ফুরিয়ে যায়

তবু আশা থাকে একদিন পাশ ফিরে
অভাব না আর, মানুষ দেখব পাশে
চেনা ভিড় থেকে সে আসবে হুট করে
অনটনে ভরা এ মরা ফাগুন মাসে!

সুন্দর- বদরে মুনীর

শত শত সুন্দর মুখ দেখে আমাদের দিন চলে গেছে
শত শত সুন্দর মানুষ দেখে জীবনের বারোটা বেজেছে

বেলুনের বাতাস ফুরালে তবু থেকে যায় ছেঁড়া ছেঁড়া দাগ
যে-রকম জননী জঠরে থাকে ধারণের স্মৃতিরা সজাগ

আর কোন পাওনা নাই কারও কাছে, মগজে কোথাও নাই ঘোর
যে-যার বেতনে চলি, পাল-পাল, একা একা জঘন্য সুন্দর

Wednesday 1 April 2020

Saturday 28 March 2020

বিরহ- শঙ্খ ঘোষ

গভীর ঘুমের মধ্যে
হাসিমুখে সর্বনাশ এসে দাঁড়ায়
তার আদরে আদরে ভরে যেতে থাকে আমার অপাবৃত শরীর

ক্ষতগুলি চেনা যায় জেগে উঠবার বহু পরে
ততক্ষণে, সেও কাছে নেই

Friday 27 March 2020

তবু এসো- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

কোথাও কিছু পুড়ছে, তার গন্ধ পাই,
পুরনো ভালবাসা
কোথাও কিছু মুচড়ে ওঠে যন্ত্রণায়
পুরনো ভালবাসা
কে যেন আজ দাঁড়িয়ে আছে কুয়োতলায়
আমার ভালবাসা
শব্দ করে জানলা-দরজা খুলে দিয়েছি
এখন তুমি এসো
আকাশটাকে ঘরের মধ্যে টেনে দিয়েছি
এখন তুমি এসো
যদিও ইতিমধ্যে নাম ভুলে গিয়েছি
তবুও তুমি এসো

পূর্বরাগ- রজতশুভ্র মজুমদার

আকাশ, আমার ক্লান্তি কেন হয়
আকাশ আমার ফুরিয়ে গেল কথা
আমাকে আজ সূর্য করে দাও
দেখুক রাতের ক্লিন্ন নীরবতা

আকাশ, আমার ইচ্ছে-নদী স্থির
আকাশ, আমি কিচ্ছু যে পারিনা
আকাশ, তুমি আদর লিখে দাও
আকাশ, আমি এমনি লজ্জাহীনা

আকাশ, আমার অসাবধানি চলা
মৃত্যু আমার বিপন্নতায় বাজে
আকাশ, আমার সত্যি ভালবাসা
একলা ঘরে বাঁধতে পারিনা যে।