ঠিক তারপর তুমি ফোঁটা ফোঁটা ঝরবে। কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে ফিসফিসিয়ে বলবে,
" ঘরে পথে লোকালয়ে স্রোতে জনস্রোতে আমাকে কি
একাই খুঁজেছো তুমি? আমি বুঝি তোমাকে খুঁজিনি? "
খুঁজবো। নাভির পাশে ছোট্ট তিল। ঠিক তখনই বাঁ দিকের জানলায় হিমবাহ গলে যাবে। ডান দিকে ডেকে উঠবে বসন্তবৌরি। সরে যাবে জানলায়। কপট রাগে বলবে, 'কী যে ছাই বলো?'। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে মুখ রেখে বলবো,
"জীবনে তোমাকে কোনোদিন ঠিকমতো ভালোবাসা হলো না।
শুধু হিজিবিজি ছবি, চাঁদ, মেঘ,
সবিনয় নিবেদন কাটাকুটি করে চিরদিন তোমার কাছে পৌঁছোনো।"
কেঁপে উঠবে। গলে গলে পড়বে। আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটা হঠাৎ আবছা হয়ে যাবে। লাল ছাতা নিয়ে হেঁটে আসবে কিশোরী। আঁচল উড়িয়ে তুমি - "এখন একটু বৃষ্টি পড়লে বেশ হত'! আমি জাদুকাঠি বের করবো। মন্ত্র উচ্চারিত হবে-
'মেঘের কোমল করুণ দুপুর
সূর্যে আঙুল বাড়ালে-
তোমাকে বকব, ভীষণ বকব
আড়ালে ।'
ঠিক তখনই একটা ছোট্ট কালো মেঘ জানলায় উঁকি দেবে। টুকি। দুম করে একটা হাওয়া। জানলা খুলে যাবে। এক দৌড়ে পানকৌড়ি। পেছনে আমি ছুটতে ছুটতে -
'হাতের রেখায় থাকবে জানি মাইলফলক, সরাইখানা…
কৃষ্ণচূড়ার ছোট্ট চিঠি, রাধাচূড়ার বলতে মানা
বিপদ আসুক, লাগুক বাতাস, ছুটুক সময় তোমার দিকে
পাগল হওয়া বিশুই জেনো আগলে রাখে নন্দিনীকে!'
তারপর ভিজবো আশরীর। পৃথিবীর সমস্ত পুরানো অসুখ সেরে যাবে। এমন একটি স্নান, আমাদের বাঁচাবে প্রবল। একসাথে বলবো দুজনে - 'ভালোবাসি'।
বলো, কোন এক একুশে ফেব্রুয়ারি এরকম একটা দিন কাটাবে?