ছেড়ে যাব বলে একে একে মায়া কাটিয়ে উঠছি আমি
প্রিয় করিডোর ছলকে উঠছে না পাওয়া দিনের আলোয়
সময় এবং সহমর্মিতা চাইতে গেলেই বুঝি-
কিছু মোমবাতি নেভানোর চেয়ে পুড়িয়ে দেওয়াই ভালো
দেখা হবে বলে ছুটে যাওয়া আর ফেরার শূণ্য হাতে
দূর থেকে যদি ভালবাসা যায়, কার কি বা তাতে ক্ষতি?
বৃষ্টিকে আমি আসতে বলেছি কান্না লুকোবো বলে
মরতে মরতে হেঁটে যাওয়াটাই জীবনের পরিণতি।
ইচ্ছের ঠিক ঠিকানা থাকে না, এমনিই চায় লোকে
ঘুমোতে না পেরে সারারাত ধরে জেগে বসে থাকে ক্ষত
ফেরবার আগে শেষ ইচ্ছেটা? বনেদী বসন্ততে
তার হাত ধরে সমস্ত দিন বেড়াবো ঝড়ের মত...
অধিকারবোধ বাড়িয়ে ফেলেই সরে আসি ভীতু পায়ে
যদি ভালবাসা প্রকাশিত হয়ে কান্নাটি যায় শোনা!
আমার যা হয় হোক তবু এই ভীষণ গুমোট দিনে
তোমাকে আমার বায়নার ঘরে আর টানবো না
চাইলে সবই তো কেড়ে নেওয়া যায় তীরন্দাজের মত
লক্ষ্যভেদে যে বিশ্বাসী নয় আসল জ্বালা তো তারই
নিজেকে এতটা কঠিন করেই কষ্ট দেবার পরেও
দূর থেকে কোনো দাবি না জানিয়ে ভালবেসে যেতে পারি
পাতা টাতা সব ঝরে গিয়ে শেষে পড়ে আছে শুধু কাঁটা
কেউ তাতে হাত ছুঁয়েও দেখে না রক্ত পড়ায় ভয়ে
একা গাছটিই এফোঁড় ওফোঁড়, বলতে পারেনি তবু-
কয়েকটা ফুল ফুটতে পারত আদরের বিনিময়ে...
মায়া বাড়ে বলে একা একা তাকে ছেড়ে যেতে হবে জানি
না পাওয়া দিনের আলো পড়ে চেনা করিডোর চমকায়
আমার জন্যে কারোরই কখনো সময় ছিল না বলে
কিছু মোমবাতি নেভানোর আগে পুড়িয়ে ফেলাই যায়।