সুদূর বিদেশে থাকে, এমনি বন্ধুর মতো চেনা হাসিমুখে
সময়ের ট্রেন থেকে নেমে আসে কার্তিকের একটি সকাল --
বাঁশের নির্জন সাঁকো পার হয়ে এদিক ওদিক
চেয়ে দেখে, তারপর
রৌদ্র-ছায়া-নকশাকাটা উঠোনে দাঁড়িয়ে সে আমার
কুশল জিজ্ঞাসা করে ।
তাকে দেখে বারান্দায় পাখি নাচে, কাঠের পুতুল
হাতে নিয়ে শৈশবের স্মৃতিগুলি দরোজায় ভিড় করে আসে :
আমার মায়ের চোখ মনে পড়ে, আমার দিদিমা
'সুখে থাকো'- লেখা এক প্রাচীন আসনে
আমাকে বসিয়ে যেন এখনি পাশের ঘরে গেছে,
রুপোর রেকাবি ভরে মিষ্টি, ফল, নিয়ে ফিরে এলে
অনুষ্ঠান শুরু হবে শাঁখের ধ্বনিতে,
হাওয়া থেকে হাতের আড়ালে রেখে পিলসুজে ঘৃতের প্রদীপ
কোমল বুকের স্নেহ আমাকে বলবে তুমি দীর্ঘজীবী হও --
এই সব রূপকথা খুব ভাবি জন্মদিন এলে ৷
আমি সুখে আছি কিনা দীর্ঘজীবী হবো কিনা, সে সব কথার
অনেক দূরত্বে আজ বাস করি জীবনের কঠিন মাটিতে :
ঝ'ড়ো হাওয়া একা পথে নদীর স্রোতের
বিপরীতে যেতে হয়,
অবিরাম দুঃখ থেকে আমাকে বাঁচাতে আর কোন
হাতের আড়াল নেই !
তবু কেন কুশল সংবাদ নিতে জন্মদিন আসে ?
0 comments:
Post a Comment