Wednesday 8 July 2015

পথ চেয়ে নেই


আমি আর তোর পথ চেয়ে নেই 
এখন আর তোর কথা ভাবি না 
আমি আর তোকে নিয়ে ভেবে ভেবে 
শত নিশি রাত ভোর করিনা 
এখন আর তোর মায়া মাখা মুখের 
মিছে ছলনায় পৃথিবী ভুলিনা 
মনে মনে তোর সাথে আর 
অহর্নিশি কথা বলি না 



 (Chorus)
আমি এখন একা হাঁটতে শিখেছি 
না না তোকে আর মনে পড়ে না 
তোর স্মৃতি গুলো মনে করে আর 
অঝোরে অশ্রু ঝরে না.....(২) 

ভালবাসার সমার্থক মানেই 
আমি এখন আর তোকে বুঝি না 
আমি আর তোর চোখে রেখে চোখ 
পৃথিবীর সব সুখ খুজি না 

আমি এখন একা হাঁটতে শিখেছি 
না না তোকে আর মনে পড়ে না 
তোর স্মৃতি গুলো মনে করে আর 
অঝোরে অশ্রু ঝরে না. (২) 

খুব প্রিয় চেনা তোর স্বর শুনে 
আমার এখন আর ধ্যান ভাঙ্গেনা 
তোর শত রাগে অভিমানেও 
আমার আর কিছু যায় আসে না....


আমি এখন একা হাঁটতে শিখেছি 
না না তোকে আর মনে পড়ে না 
তোর স্মৃতি গুলো মনে করে আর 
অঝোরে অশ্রু ঝরে না. (২) 


আমায় তোমার হাতটা ধরতে দিও
ছুঁয়ে দেখব স্পর্শটুকু কেমন
কখনও যদি একলা ফেলে যাও 
বুঝতে পারব কতটা হয় দহন
তোমার চোখে দুচোখ রাখতে দিও
চেয়ে দেখব কেমনতর মায়া
তোমায় ছাড়া বাঁচতে যাওয়া মানে 
আমার ভেতর আমি বিহীন কায়া
পাশাপাশি হাঁটব তোমার সাথে
আঙুল থাকবে আঙুল দিয়ে বোনা
অনিমেষে দেখব তোমার হাসি
ঘুমের ঘোরেও তোমার আনাগোনা
অসম্ভব এক ইচ্ছে মনের ভেতর
আবার যদি জন্ম নেয়া যেত
এই জীবনে একটু খানিক সময়
এক জনমে বাসব ভাল কত
এমন কতক ইচ্ছে তোমায় নিয়ে
জমিয়ে রাখা অবুঝ শিশুর মত
আমায় নিয়ে তোমারও কি আছে ?
সঙ্গোপনে যদি জানা যেত
আমার যখন একলা লাগে ভীষণ
অনেক খুঁজেও পাইনা তোমায় কাছে
আমার মত ক'জন আছে এমন
অহর্নিশি অলীক সুখে বাঁচে.....

ভালবাসার জন্য কেউ একজন নতজানু হচ্ছে , তার ভীষন আরাধ্য কারো সামনে |
 কি অসাধারন এক দৃশ্যকাব্য..... !
দেখতে ইচ্ছে করে....
এমনটা ভীষন দেখতে ইচ্ছে করে.

অণুকাব্য-৭

তুমি স্বপ্ন নিয়ে বিভোর থাক
আমি তোমার কেউ নই
শুধু যেদিন তুমি অশ্রু ফেলো
সেদিন তোমার সাথী হই
তুমি নিদ্রাঘোরে মগ্ন থাক
আমি বহু দূরের ভিনদেশী
তবু তুমি যদি ডাকো,
বিষাদে ডুবে থাকো
মুহুর্তে তোমার কাছে আসি.

কালো যমুনাতে যাও গো রাধে
কাহারও টানে....
যারও লাগি অঙ্গ জ্বলে 
সে কি জানে


এমন বিধান এই দুনিয়ার 
হয়না হিসাব দুঃখ ব্যথার
যাহার বেদন সেই গো জানে
না বোঝে কেউ আর..

Sunday 5 July 2015

জগতে সবচাইতে কঠিন রকমের নির্দয়
স্বভাবের মানুষ গুলোর চেহারাই
সবচাইতে আশ্চর্য রকমের নিষ্পাপ......

ভীষণ কষ্টেও কেউ না কাঁদলে তার
মানে এই নয় যে সে মানসিক ভাবে খুব
শান্তিতে থাকে আর অতীব সহজে সে
তার অশ্রুধারা বন্দী করে রাখে.....
অতো কষ্ট ভেতরে চাপানো তাও না
কেঁদে বেশ কঠিন.....

পিতৃতুল্য আর পিতার বয়সী এ দু'ধরনের
লোক কিন্তু একই শ্রেণীতে পড়ে না....
পিতৃতুল্য পুরুষ খুব কম লোকেই হতে পারে |
কিন্তু পিতার বয়সী লোক দুনিয়ায় বহুত
আছে.....

তীব্রভাবে ভালবাসতে পারা টা এক
ধরণের গুণ, একটা যোগ্যতা | সবার এ
যোগ্যতা টা থাকে না......