বলি না নিজের কথা কোনো অবসরে
রাত গুলো বড় হয়, গলা চেপে ধরে।
ভাবি ঘুম এসে যাবে, চোখ বুজে শুই
কত কি হাতড়ে মরি, পাই না কিছুই।
ওষুধ জরুরি তবু অনুমতিহীনা
সারারাত জেগে থাকি, প্রশ্ন করিনা-
কেন আমি পারছিনা একা একা আর?
কেন সব্বাই ছেড়ে যাবে প্রতিবার?
কেন বিপদের সাথে সখ্যতা তোর-
আমি কিছু বলবনা? করব না জোর?
অধিকারবোধটির কত পরিমাণ?
কত গান? অভিমান... কত পিছুটান?
ঘড়ির শব্দ বাড়ে আর বাড়ে শীতও
তোকে নিয়ে ভয় হয় তবু বলিনি তো...
হারানোর নেই কিছু এতটাই ভাঙা
কুমীরে কুমীরে কবে ভরে গেছে ডাঙা
চাঁদের উঠোনে স্মৃতি খুইয়েছে হাসি
একা চিৎকার করি- বাসি, ভালবাসি।
যেদিনটা তুই এলি, সেই দিন রাতে
কথা হয়েছিল হেঁটে যাব একসাথে
তবু ঝুঁকি বোধ করি তোর প্রিয়জন-
যতটুকু আমি, তার চেয়েও আপন।
তোর ওই থাকাটুকু বুকে নিয়ে বাঁচা
ভালবাসা চিরকালই বিদঘুটে খাঁচা
ভেতরে যত্ন নিয়ে খুলে দেয় বেড়ি-
কেউ আগে চলে যায়, কেউ করে দেরি।
আর যারা থেকে যায় তারা প্রয়োজন
ধরে ফেলে ক্ষত সব, পড়ে ফেলে মন...
আমি তো ব্যথার জ্বরে ফুটে ওঠা তারা
কিভাবে বাঁচব বল উষ্ণতা ছাড়া?
একটাই খুঁটি শুধু, সেইটুকু ধরে-
মৃত পাখি ডানাদুটো ঝাপটায় জোরে।
বাঁচবার নেশা নেই, ফের হারানো ভয়
একটা পিঠেও আর কত বল সয়?
বিপদের ভাবনায় তোর মুখ দেখে
শিউরে উঠছি আমি সেই কবে থেকে।
তাই এত সাবধানী বারণের ঘোরে
এইটুকু লিখে রাখি রাতের অক্ষরে-
যদি না সুযোগ পাই এইভাবে আর,
ভালবাসা জড়ো করে যাই বারবার...
মাঝরাতে দৌড়ই, ছাদে গিয়ে থামি
তোর নিঃশ্বাস শুনে বেঁচে আছি আমি
তোর নিঃশ্বাস পেলে বেঁচে যাব আমি।।