যে মুহূর্তে তুমি বুঝতে পারবে ওই পাখিটা দেবী নয় ,ওটা একটা নগণ্য পাখি মাত্র , সেই মুহূর্তে তুমিপক্ষী - নিপীড়ন থেকে চিরতরে মুক্ত ও স্বাধীন !
তোমার গলায় গান , ফুলেরা তোমার ইচ্ছাধীন !
যে বাগানের মধ্যে তুমি, মূর্খ তরুণের মতো,
একটা মোহিনী পাখির ছলনায় ঢুকে পড়ে, তার ক্রীতদাস হয়েছিলে,সেই বাগানের গেটে লেখা ছিল সুস্পষ্ট বিজ্ঞপ্তি;'প্রেমের ভিতরে সবরকম স্বাধীনতা নিষিদ্ধ।'
তুমি আহাম্মক, তুমি পাখিটার চটকে অন্ধ, তুমি সেই সতর্কবাণী লক্ষ করোনি। এমনকী সেই বাগানের প্রতিটি চুম্বন - বেঞ্চির ক্ষয়া পাটাতনে সাদা পক্ষী - বিষ্ঠা দিয়ে লেখা ছিল : ' প্রেমের ভিতরে সর্বপ্রকার নিপীড়ন আইনসিদ্ধ ।'
তুমি পাখির নখরায় অন্ধ, তুমি সেই সতর্কবাণী পড়তে পারোনি । তাই সেই অহংকারী, সুন্দরী পাখির ইমোশনাল অত্যাচারে, ঠোঁট আর নখরের আঘাতে আঘাতে একটা থ্যাঁতা ইঁদুরের মতো মরতে বসেছিলে ।
তবু তুমি বেঁচে গেলে, শেষমেশ, বাগানের ক্রুদ্ধ করুণায় ।
একদিন রাতে একটা হ্যান্ডসাম, নেশাগ্রস্ত চাঁদ পাখিটাকে ফুসলে নিয়ে চলে গেল ভিন্ন বনে, ভিন্ন জ্যোৎস্নায় ।
তুমি মুক্তি পেলে দীর্ঘ পক্ষী নিপীড়ন থেকে, ভোর হল গাছের পাতায় ।
সুন্দরী পাখির সঙ্গে রাত্রির বাগানে আর কখনো যেয়ো না, ' ওই পাখিটা পাখিমাত্র ' - এই মন্ত্র কক্ষনো ভুলো না ।