আঘাতে স্তব্ধ হই, অভিমানে সোলো।
সেইবার ছেড়ে গেলে, ধুম জ্বর হল
সারারাত হুঁশ নেই, মুখে তবু সাড়
বিড়বিড় করে গেছি- নামটুকু তার।
এইভাবে একটানা বেশ কিছু দিন
তুমি নেই কোত্থাও; আছে- জ্বর, ঋণ
সেদিন একটু ভাল। চোখ খোলা যায়।
রোদ এসে পড়েছিল মৃত জানালায়
শুয়ে শুয়ে শুনলাম বাইরের ঘরে
সারাদিন ভয়ে কারা প্রার্থনা করে।
নীচু হয়ে আসে চোখ, বারোয়ারি ঘুমে
তোমাকে দেখেছি কবে? কোন মরশুমে?
তুমি কবে এসেছিলে? কতটুকু ছিলে?
জ্বর স্মৃতি গ্রাস করে নেয় তিলে তিলে
চোখের কাছেই জল, তবু খুঁজি হাতে
গলাও শুকিয়ে আসে স্থির পিপাসাতে।
কান বেয়ে গান ছোটে, শিরা ভেসে যায়
জ্বর ঠোঁটে ঠায় বসে থাকি বিছানায়।
বাইরে তো কত লোক। কত শোক আরও
আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারো?
কবিতা শান্ত হয়ে বসে এক কোণে
শব্দের ঘেরাটোপে বাস্তব শোনে।
দিন কেটে যায় শুধু। সেরে উঠি কই!
আমার মতন তারও জ্বর নিশ্চই?