Saturday 17 March 2018

এই মাতাল হওয়া বাতাস

এই মাতাল হওয়া বাতাস,
এই আগুনে পোড়া ফাগুন
পাতা ঝরা নির্ঝরের দিন
এলোমেলো নিঝুম বিকেল
কারো না থাকার অভিজ্ঞান হয়ে থাকুক,
থাকুক বেঁচে থাকার স্মৃতিস্মারক হয়ে।
তবু সব কিছু অপচয় মনে হয়...

পৃথিবীতে সত্যিই অসম্ভব বলে কিছু নেই

পৃথিবীতে সত্যিই অসম্ভব বলে কিছু নেই। কিন্তু সেই আপাতঃ অসম্ভব ব্যপারটা যদি ভাল কিছু হয় তবে হয়ত সম্ভব হবার সম্ভাবনা খুব কম। আর যদি খারাপ কিছু হয় তবে হাজার না চাইতেও সেটা হয়ে যাবে।

Thursday 15 March 2018

যার সিঁথির সিঁদুরে তোর নাম

যার সিঁথির সিঁদুরে শুধু তোর নাম
তাকে সিঁদুর পড়ায় অন্যজন...
এজন্মে সে তোর কপালে নেই,
তাইতো অন্য কারও জন্য
কপালে সিঁদুর ফোঁটা আঁকে।

Saturday 10 February 2018

কবিতা- লুৎফর হাসান

কে দেবে তোমায় ভিড় ঠেলে এসে নতুন শুদ্ধ দিন
কার কাছে পাবে তোমার জন্য বুক ব্যথা চিনচিন।
কে দেবে তোমায় ঘুম ভাঙা নদী কথার কলস্বরে,
অবুঝ দুপুর দেবে কে তোমার মুঠোতে বন্দী করে।
আর কে দেবে রোদের মেয়ের আঁচলে রাখা ঘুম,
জোনাকির ঠোঁটে কে দেবে তোমায় সন্ধ্যাপাখির চুম।
কে দেবে বলো রাতের নিখাদ অন্ধকারের আলো,
জোছনার ঘ্রাণ পাবে আর কই মুছতে গিয়ে কালো।
আর কে আছে তোমাকেই দেবে জেগে থাকা সব বেলা,
ঘুমের ঘোরে কে দেবে তোমার খোয়াবের অবহেলা।
কে দেবে তোমার বিছানায় মেঘ চাদরে সমুদ্দুর,
মেঝেতে দেবে বালিয়াড়ি আর কে দেবে মাতাল সুর।
আর কে আছে তোমাকেই শুধু তোমাকেই যাবে লিখে,
সারা পৃথিবীর ফুল পাখি ফেলে তাকাবে তোমারই দিকে।
আর কে আছে যাকে দেবে তুমি দুঃখ রাশি রাশি,
কারো নেই শখ ছিঁড়ে যাওয়া ঠোঁটে বলবেই ভালোবাসি।
তবুও তুমি কী যে কারণে কোনদিকে যাও ভেসে,
বুঝলে না নারী অবেলার স্রোতে যাচ্ছো কোথায় হেসে।
এখনও তোমার মুখের রেখায় তাজা তাজা রোদ, জানো?
বেলা পড়ে গেলে রঙ থাকে না, এই সত্য মানো?

Monday 15 January 2018

রাতভোরে বৃষ্টি- ওয়াসিকা নুযহাত

বৃষ্টির জলে তুমি এঁকেছিলে মুখ
লেখা আছে ডায়রীতে রুপোলী অক্ষরে
ছড়ানো গোলাপের পাঁপড়ি
সেদিনও বৃষ্টি ছিল এমন ,রাতভোরে ;
সাদা মেঘ নিরুদ্দেশ ,আঁধার আকাশে
দমকা হাওয়ায় ছিল রিমঝিম সুর
সোদা মাটির ঘ্রাণ ,মাতাল চারপাশ
তুমি আমি একাকার ,হৃদয়ে ভাংচুর !!!
লেখা আছে সেই রাত রুপোলী অক্ষরে
সেদিনও বৃষ্টি ছিল এমন ,রাতভোরে

Wasika Nuzhat

কথা ছিল বৃষ্টি নামলে শ্রাবণসন্ধ্যা গুলো প্রিয় কবিতা হবে
কথা ছিল বৃষ্টির এলে দুটি নিশ্বাসের শব্দ গভীর থেকে গভীরতর হবে
বারান্দায় ঝুলে থাকা বাগানবিলাসে ঝির ঝির বৃষ্টিতে ঝরবে মায়া
মাঝ রাত্তিরে বজ্রপাতের শব্দে একটি মুখ লুকাবে একটি বুকে
পরম বিশ্বাসে ....
কথা ছিল কদম ফুল , কথা ছিল হিজল বন
কথা ছিল হাতে হাত , কাছাকাছি দুটো মন .......
কথা ছিল ভালোবাসা , আজীবন পাশে থাকা
বৃষ্টিতে মুখোমুখি , চোখে চোখ রাখা

বৃষ্টি এলো তাই- ওয়াসিকা নুযহাত

আজ অবেলায় ঝুম
বৃষ্টি নামলো তাই;
আমি আবার সেই
পুরোনো তোমাকে চাই|
হাতের কাজ ফেলে রেখে
দৌড়ে ছুটে এসে
'বৃষ্টি হচ্ছে,চলো ভিজি'
বলবে তুমি হেসে|
মেঘ রঙের শাড়ি আমার,
বৃষ্টি রঙের টিপ;
আগুন লাগা চাউনি তোমার,
হৃদয়ে ঢিপ ঢিপ|
কদম বনের সব খুশবু
মনের উঠোন জুড়ে;
হাওয়ায় হাওয়ায় মুখের কথা
যাচ্ছে দেখো উড়ে |
দুচোখ মেলে চেয়ে থেকে
দিয়ে মাদক হাসি;
ফিসফিসিয়ে বলবে কানে
বৌ তোমায় ভালোবাসি|

রুদ্র গোস্বামী

খুব মিষ্টি একটা গল্প
তুই হতেও তো পারতিস
আমার মন খারাপের রাতে
তুই মন জড়িয়ে থাকতিস

তুই থাকতিস
জ্বর মাপতিস
আমার জল গড়ানো চোখে
তুই উৎসব এনে রাখতিস

আমি জাগতাম
রাত জাগতাম
আমি আষাঢ় নিয়ে বসে
তোকে রোদ্দুর বলে ভাবতাম

তুই চিনতিস
জল চিনতিস
তুই ফোঁটায় ফোঁটায় আদর রেখে
উচ্ছাস হয়ে জ্বলতিস

তুই জ্বলতিস
তুই জ্বলতিস
তুই জল ছুইয়ে জলের মধ্যে
উত্তাপ রেখে গলতিস

তোকে দেখতাম
তোকে দেখতাম
আমি মনের আরামে শিল্পীর মত
ক্যানভাসে তোকে আঁকতাম

শেষ বিকেলের কাব্য- ওয়াসিকা নুযহাত

কাছে যাওয়া ভুল হতে পারে ভেবে,
দাঁড়িয়ে থাকি এখানটায়,
তোমার ওখানে সিঁদুর রঙের দুপুর
আমি আছি পড়ন্ত বিকেল বেলায়।
তুমি এসেছিলে হঠাৎ হাওয়ার মতো
আমার এই বিকেল বেলার রোদ্দুরে,
গোলাপের পাপড়ি উড়িয়ে দিয়ে
ঢেকেছিলে ভালো লাগার চাদরে।
তোমার ছিল নীল আকাশের নীল
আমার শুধু শেষ বিকেলের আলো
তাই দিয়ে কবিতা লিখবে বলে
আমায় তুমি অযথা বাসলে ভালো।
সেই কবিতা ভুলে গেছ তুমি ,
সিঁদুর রঙের দুপুর বেলার লোভে।
বিকেল তোমাকে টানেনা আর জানি
তুমি বদলে গেছ সেই কবে।।