Wednesday 12 August 2020

অনুরাধা নক্ষত্রের জাতক ও তাঁর রনলেখাগুলি- বিশ্বজিৎ দেব


ক)
রেলব্রীজ হতে চেয়ে হাত পা ছুঁড়েছি আমিও, দুদিকে দোটানা। জীবন্ত ও শবের মাঝামাঝি চমকে উঠেছে নয়নতারার ঝিকি,একটি শুন্য পৃষ্ঠায় এসে আকাশ নেমেছে , মাটির যমজ-
একটি অসহায় হাতপাখা নিজে থেকেই নড়ে উঠেছে সামারের দীর্ঘ খুশিতে।
গান হয়ে বসে আছে একটি কাঠের হারমোনিয়াম।চারদিকে কি ভীষণ বিবাহতান্ডব!

খ)
চলো পালাই, শেষ ভূখণ্ডে যেখানে জমাট
বাঁধছে বরফ, জলের ব্যথার সাথে মিশে
যাচ্ছে মাটি। চলো তার প্রান্তিকে পা ঝুলিয়ে বসে মদ খেতে যাই, নীলের সফেন
থেকে ছেনে তুলি আকাশের ফাঁকি তারাদের নামে লিখে ফেলি
নভো সিরিয়াল,জঙ্গলে ঠাসা পৃথিবীর
ঘুনের কনসার্ট ....

গ)
আমাকে শায়িত রেখে সব বিচ্ছেদ জুড়ে দেবে বলে এভাবেই তৈরি হচ্ছে
টানা রেলব্রীজ,ঝমঝম অনুবাদ,আয়রনের ঘোর, মরচের সমুহ বিরাগ।
এসবই পূর্বসুচিত, দুদিকের বিপুল তফাত এঁকে রাখা জল, সাত সিঁড়ি সর্বনাম অস্থির ক্ষয়,আকাশ ডাকলে কবে দৌড়ে যাবে ব্ল্যাকহোল, আয় আয় খোঁকা
মাসিপিসি ঘুম!

ঘ)
কার যতিচিহ্ন অবধি আমিও লিখেছি তাঁর
রনলেখাগুলি, আমিও বেঁধেছি টানা ক্রেন
দুদিকের ভুল বোঝাবুঝি! তারাদের আলোকশুন্য রাতে কেউ জানতে পারেনা এই খুনোখুনি,লুটিয়ে পড়ার আগে কিরকম শ্বাস নিচ্ছে চিরপরাজিত ছৌ
কাঁপা কাঁপা রিখটার থেকে নেমে যাচ্ছে
হতাহত নক্ষত্রের ছাই....

ঙ)
এসবের থেকে দুরে
গ্রামের একমাত্র মানতের থানে লোকে জড়ো হয় এই বিস্ময়ে, স্তুপিকৃত জবামালা
ঘোর কৃষ্ণপক্ষ রাতে ঝরে পড়ে নিরক্ত রোশনাই!

0 comments:

Post a Comment